নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চকরিয়া–পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনের সাবেক এমপি এবং সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমেদের পৃষ্ঠপোষকতায় মৌলভী ছাঈদুল হক ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘শহীদ জিয়া স্মৃতি মেধাবৃত্তি পরীক্ষা–২০২৫’-এর ফলাফল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) প্রকাশিত হয়েছে। ফলাফলে কক্সবাজারের পাঁচ উপজেলায় সর্বোচ্চ বৃত্তি ও নম্বর পেয়ে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ।
জানা গেছে, গত ৮ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে চকরিয়া, পেকুয়া, প্রস্তাবিত মাতামুহুরী, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদের বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত পেকুয়া মৌলভী ছাঈদুল হক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় প্রাথমিক শাখার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি এবং মাধ্যমিক শাখার ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এক মাস দুই দিন পর বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে আয়োজক কমিটি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে। কক্সবাজারের পাঁচ উপজেলায় মোট ২,৯০১ জন শিক্ষার্থী এ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে বিভিন্ন গ্রেডে ৪৩১ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি লাভ করেছে। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়—চকরিয়া উপজেলায় মাধ্যমিক শাখায় সর্বোচ্চ নম্বরসহ জেলার পাঁচ উপজেলা মিলে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনসহ মোট ৭২ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ।
উল্লেখ্য, এর আগেও নতুন কুঁড়ি মেধাবৃত্তি পরীক্ষা, আলোকিত মেধা বিকাশ স্বর্ণপদক বৃত্তি, ব্রাইট ফিউচার স্কলারশিপ এবং মাওলানা আহমদ আলী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ বৃত্তি পেয়ে চলতি বছরও চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের মেধাবী শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে চমক সৃষ্টি করেছে।
জানা গেছে, চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরা ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত নতুন কুঁড়ি বৃত্তি পরীক্ষায় ৮৫ জন, আলোকিত মেধা বিকাশ বৃত্তি পরীক্ষায় ১৫৭ জন, আহমদ আলী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষায় ৫০ জন এবং ব্রাইট ফিউচার স্কলারশিপ পরীক্ষায় ১৪০ জন বৃত্তি লাভ করেছে।
চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল আখের বলেন, “আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় অতীতের মতো এ বছরও বিভিন্ন বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফলে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ সাফল্যের অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে পেরেছে। এই কৃতিত্বের জন্য বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, পরিচালনা পর্ষদ ও অভিভাবক—সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “নতুন শিক্ষাবর্ষে পাঠদান পদ্ধতিতে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের অর্জিত সফলতা ধরে রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।”
